কবিতা
তোরা কি জল দেবেনা
?
জেন্ত নদী কুশিয়ারা, সুরমার অবকায়ে ।
প্রাচীন হতে 'জলাধার' এ চলছে বয়ে
হাজারও গ্রাম, আর শহর ছোঁয়ে ।
তোরা আজ বাঁধ বেঁধে
কি
লাখ মানুষের জীবিকা
হরণ করবে মাতাল হয়ে ।
তোরা কি জল দেবেনা
?
জেন্ত নদী কুশিয়ারা, সুরমার অবকায়ে ।
প্রাচীন ভূমী কাছার, আসাম, শ্রীহট্টধাম'
আজ টিপাই বাঁধে মরু
ভু-মে যায় হারিয়ে ।
বিদ্যুৎ দানে কি ফল পাবে
তীর্থসম জনবসতি উপড়ে
দিয়ে ।
তোরা কি জল দেবেনা
?
জেন্ত নদী কুশিয়ারা, সুরমার অবকায়ে ।
(1)
এসো, কল্যাণময়ী মানবতা তুমি
রিক্তজনের ব্যথা সব
থামি
দুর করো গ্লাণি, বঙ্গ মাতা হতে।
সবুজ শ্যমল সোনার এ
বাংলা
জলসে উঠোক, তোমার পরশেতে।।
অকল্যাণ যত হিংসায়
কাতর
দুর্ভৃত্যদের শিখাও
আদর
আদর্শের ভেতর চলতে
সোজা পথে।
মানবে মানবে যত বৈষম্য
দুরে যাক হীনতম নীতি, ঘৃণাতে ।।
(2)
লোভ মাদুর্য়ের মায়া
ছায়া তলে
যে মানব রয়েছে ডুবি, রাজ্য দখল করে ।
কেমনে সে সেবিবে মানব, এ ভবে,
যার মনে নেই দয়া, কোন মানবের তরে ।
যার বুকে নেই হুতাশন
কোন
করিতেছে কি, না, পাপ, ভাবেনা যে, সে কখন ।
পর শোকে যে মন, হয়না ব্যথিত
দরিদ্রের কুটিরে সন্তোষ
বাটিতে, সে কি পারে,
যার মনে নেই দয়া, কোন মানবের তরে ।।
(3)
ধর্ম পবিত্র, যে মানব বুঝে নিশ্চিত
সেইতো খুড়িয়েছে কল্যাণ
ভব মাঝে ।
ধর্ম হীনতা, দেয় অনুতাপ আর ব্যথা
চিরকালের মিতা মরমে
থাকে মজে ।।
যে রয় দিপ্ত, মানব আত্ম ধর্ম নির্বর
ধর্ম পাপে সে হূদয়, কাঁপে সরোবর ।
কুটিল যে নর, সে রাখেনা ধর্মের খবর
অহেতুক অভিলাষ জগতে
সেই খুজে ।।
(4)
আমি বলি বিখ্যাত,
সুখ্যাত, ঐ মন
সাম্য চিত্তে, ভাব দীপ্তে, জাগরণ, সর্ব প্রান্তে
হূদয় হোন্তে, বিলা'ল জীবন ।
যার সরল প্রাণ,
সাজে তার অভিমান'
আদর সোহাগ, বাটিতেছে যে, ভেদা-ভেদে হী-ন মানবের মাঝে
কালো, সাদা, লাল নিয়েছে ত্যাগে
তার তরে প্রেম সাজে, হয় না'কো পাষান ।
মুক্ত প্রতি প্রাণ, অজয় প্রয়াণ । দেহ পরিতাক্ত -
আখ্যিত ভু-য়ান্তে
সেই বিখ্যাত ।।
(5)
এসো মুক্তি, ঐক্যের শক্তি- সত্য প্রেমিক তুলো শীর
স্বাধীন চেতা-জন নেতা, বাংলায় বাজা বিষান ফির।
রফ-রফে আয় মুক্তি
কামী, মিঠিয়ে দে সকল গ্লানি
ভেঙ্গে ফেল ঐ পদের
নেশা, গড়'দে দিশা বাঙালীর ।
বজ্র কন্ঠে তুলে-রে
আওয়াজ, হউক না, যে, হয়-রে নারাজ
শক্ত হাতে ধরে সিরাজ, আলোতে ভর সব'টি নীড়।
করে শপথ সাজা কিসমত, ষোল কুটি মানুষের জীবত
ভেঙ্গে দে ঐ দিদ্বেষ
প্রথা, দন্ধ তলে যা আজ স্তির ।
(6)
খোদার সকাশ, লয়ে বাঙালীর আশ্-
মুজিব কন্ঠে সে দিন-
দ্যুলোক ভূলোক ছাড়ি
সপ্ত গগণ ছেদি
আরশ ভেদিয়া বাণী লাহুতে
আসীন।।
খোদার করুনা আচ, একাত্তরের ৭ ই মার্চ
রণ-পূর্বে উড়লো নিশান, বাঙালীর স্ব-অধিন ।
স্ব-শাসন প্রয়াসে, জাতিত্বত্তের উল্লাসে
দুর্লভ উপবাসে, সাত কুটি মানুষে চাহে স্বাধীন।।
শতাব্দীর শ্রেষ্ট রণে, অস্র তুলে সর্বজনে
তিমির শাসন হনে, গুছাতে চলে দুর্দিন।
সবেগে এগিয়ে চলে আবেগের
তালে তালে
বীর বাঙালী ধলে 'দুর্ভিত্তের' শাসন চিন ।।
নয় মাস অভিযানে, ত্রিশলক্ষ প্রান দানে
খোদার কাছে বাণী পৌছে
স্থিত হয় আমিন ।
স্বরাজ্য অভিলাষী জয়
জয় কহে হাসি
স্বজাতি স্বনামে ঘোষন
'বাংলাদেশ' সাকিন।।
(7)
শত শত শতাব্দীর বাঙালির
মরমীয়া তপ্
পরাধিন জালে আঁটা, প্রাণে বিধিত কাঁটা,
খুলিবারে প্রচেষ্টা
কবে হয় সফল ।
অজুদ-নিজুদে পণ, হয়েছে যা ক্ষন ক্ষন
ঘন ঘন সাজে রণ, হলনাকো অর্জন
স্ব-শাসন 'স্বাধীনতার' স্বপ্ন নিষফল ।।
হারানো সব অধিকার, ফেতে চেয়ে বারবার
প্রয়াণ ঘটে, শীর কাটে, কত জানি ক্ষয় হয়
চেতনায় তবু রয়, স্বাধীনতা কামনা তপ্ মঙ্গল ।
জপ ছিল সবকালের, বাঙালীর দুর্লভ ভালে
ছিল জয়, চাঁদ হালে । অভুদয় হবেই যে এক সময়
ভরিবে কানন আলয় । স্বাধীনতা
(8)
একটি স্বপ্ন আর এক
বুক আশা-
এতদ্বভিন্ তুমিতো আর
কিছু নও
হে প্রিয়,
সে দিনের সাত কুটি মানুষের কাঙ্খিত 'স্বাধীনতা ।
তুমিইতো ছিলে, শত শত বছরের-বাংলাবাসীর সন্ধান
লক্ষ লক্ষ ভাবুকের
মরমে জাগা গান-কবিতা
হে প্রিয়,
সে দিনের সাত কুটি মানুষের কাঙ্খিত 'স্বাধীনতা ।
(9)
হে কবি, মহা কবি, জয় হোক তব দান
তুমি যা দিলে মননে
ভরে
সবই যেন তার অহংকার
ছেড়ে
মানুষে মাঝে গড়ে নেয়
তার নিজের স্থান ।
তোমার সকাশে, বিনয়ির বেশে
করিতেছি বসে এই আহব্বান
।
হে কবি, মহা কবি, জয় হোক তব দান।।
ছন্দে গাঁতা প্রেম
স্মৃতি কথা
তব পরশে ভাব-আর্শি
যশে
মানব আলয় এ বিশ্বে
সবারই মাঝে ভালবেসে
বেঁচে থাকুক অবশেষে, হোক না-গো তা ম্লান ।
হে কবি, মহা কবি, জয় হোক তব দান ।
(10)
জয় 'বলয়স্বাধীনতার' জয়
হে মুক্তি, চিরঅক্ষয়, চির-গর্বিত
শোণিতে অর্জিত 'বাংলার মহান বিজয়'
জয় তব জয়, জয় জয় জয় ।
কল্যাণে মহানুভব, বাংলার মানব
নির্ভীক সৈনিক 'মুক্তির সেনাদয়'
জয় তোদের জয়, জয় জয় জয় ।
সৃষ্টি 'রঙ্গিণী'
হে চির-প্রেমদানী -
স্রষ্টার সৃষ্টি 'রঙ্গিণী' তুমিই
হে নারী ।
তোমা হতে প্রেমধারা ভবশোভাধারী ।
স্রষ্টার সৃষ্টি 'রঙ্গিণী' তুমিই
হে নারী ।
সুখ-ভোগ বিকাশিনী, বিনোদিনী-
পিড়নে শিরীন নরেরে দিয়েছ ঋন,
দাহনে ঢেলেছ জল, স্নেহ বিছারী ।
নর প্রেম সুবাধে জন্মিলে স্বর্গপাদে-
আদমের অঙ্গখণ্ড বাহিরিলে 'পাজরী' ।
স্রষ্টার সৃষ্টি 'রঙ্গিণী' তুমিই
হে নারী ।
জীবনে-যৌবনী সাধ যত তোমালয়ে
সুষমা সঞ্চারিনী আবেগের রাগানি হয়ে
বাসনায় ফুঠেছো ধক্ নাশী 'আবিরী ।
প্রেম-বিতরনে এলে সুধা হয়ে মননে
অতুল দীপ্ত-প্রেমে নরতনে সুখ-বিহারী ।
স্রষ্টার সৃষ্টি 'রঙ্গিণী' তুমিই
হে নারী ।
মহী-রূপ পুষ্পে তুমি কলি সহাস্য
পুরুষের বুকে-চোখে কামনা ভাস্য
তুমি বসন্ত-মধু, যামিনীর-বিধু 'আদরী ।
প্রাণ-লোভা মন ছোয়া জ্যোত্স্নার আলো
তৃঞ্চার ঝরণা, নর-আলপনা 'মাধুরী ।
স্রষ্টার সৃষ্টি 'রঙ্গিণী' তুমিই
হে নারী ।
তন-ময় শোভাসিত সোহাগ বিভাসিত
মায়া-ছল কল-কল বক্কে উদ্ভাসিত
নয়নে হেরি যত 'বিস্ময়' মনে বিথারী ।
তোমা হনে ভাব রস মনের হর্ষ পরশ
ক্লান্তে আবেশ নরে লুপ্ত স্ফীত লহরী ।
স্রষ্টার সৃষ্টি 'রঙ্গিণী' তুমিই
হে নারী ।
নারী, শুধু প্রেম নও-
মানস সৃষ্টির জন্ম ধারা তুমি হও ।
তুমি 'মা' জন্মিয়াছ যুগে যুগে কায়া
মানব এসেছে ভবে তোমাতে ভ্রমিয়া'।
তোমার অঙ্গাংশে মানবী আকৃতি গড়িয়া -
দিয়েছো দান পুরুষেরে । সে কি তুমি নও ?
নারী', শুধু প্রেম নও !
তোমার দেয়া আরও কত দান এ দেহে,
তোমার বক্কের শুদ্ধ-দুগ্ধ এ শরীরে বহে ।
তিলে তিলে গড়েছো সন্তানেরে স্নেহে,
সে কি কম-পাওয়া ? ঋন কি সুধে
গুন-গেহে ?
তুমি অসীমা! শত কষ্টে হেসে কথা কও ।
নারী', শুধু প্রেম নও !
হীন-জ্ঞান করে যে, সে তোমার পাপি,
স্রষ্টায় ক্ষমে না'ক মা, পাপে
আরশ ওঠে-কাঁপি ।
যত বীর, রাজা, অলী-ফকির এ বিশ্ব-ব্যপি
সবার তরে স্রষ্টার স্বর্গ আছে তব চরণ আরোপি ।
তব সাথে বাঁধা সব, জগতের কাণ্ডারী
কি নও ?
নারী', শুধু প্রেম নও
!
প্রেম প্রণয়
একদিন গিয়েছিলাম তোমাদের বাড়ি
থম-থম আকাশহনে ঝড়ছিল বারী ।
কাল-কাল মেঘ-মালায়, ঘনবজ্রপাত
ফিরতে পারি নাই তাহে হয়ে গেল রাত ।
তোমার স্বজন কতেক বসে ছিল ধারে
সারা রাত জেগে ছিলাম তোমাদের নীড়ে ।
খাওয়া-দাওয়া হল শেষ, ধাঁধা হয় শুরু
প্রাচীন প্রবচন শুনে রাত গেল পুরু ।
প্রাতে খানেক মাত্র শুয়ে ছিলাম খাটে
চোখ-মেলে দেখি তুমি নিয়ে এলে পিঠে ।
হ্যাঁ, মনে পড়েছে ! এ ছিল নাস্তা বটে
উঠে গিয়ে হাতে ভরা মগ নিয়ে
দাত-মাজিনু কাঠে ।
টেবিলেতে নাস্তা রেখে তুমি চলে গেলে
খানিক পরে চা'য়ের পেয়াল নিয়ে তুমি এলে ।
চুষ-চুষ করে চা পানে তুমি দিলে হেঁসে
মাথা চোলকিয়ে হাতে আমি রই বসে ।
বেলা গড়িয়ে এল বিদায় নেব যবে
তোমার ছোট বোন বুলে দেখা হবে কবে ?
আমি বলি, 'জানিনে' তবে ভাগ্যে যেদিন শুভে ।
বিদায় বেলা ঘাটে দেখি তরি ডুবেছে জলে
সেছিয়া ভাসালো তরি সঙ্গীরা সব মিলে ।
বর্ষার ভাসা জলে তরিতে, ফিরছি দুরের পথ
বারে বারে যেন চোখে ভাসলো তোমারই চুরত ।
তোমার মুখের মিষ্টি হাসি লোচন বাঁকা চাওয়া
ভাবিলাম সে-ত তোমাদের হতে পাওয়া নব মায়া ।
বাড়িতে ফিরে তোমায় লয়ে ভাবনা হয়না শেষ
যতই তোমায় মনে-পড়ে ততই লাগে বেশ ।
ভাবিলাম আমি হারিয়ে গেলাম প্রেম-রসাতলে
তাইত তুমি বারে-বার এসে হূদয়ে যাও দোলে ।
তোমায় ফেতে সদায় মনে ভাবনা উদয়
গমনা-গমন তোমার হাটিত গড়িতে প্রণয় ।
অবশেষে বাদ-বিবাদে ইষ্টি-কুটুম গিয়ে
দিন তারিখ ধার্য করে দিলেন মোদের বিয়ে ।
Mukto dorshon
তোরা সব প্রদর্শীতের দল
ধর্ম-কর্ম তোদের হতে হারালো বিরল
তোরা সব প্রর্দশীতের দল ।
লিল্লাহ, সদকায় নামের প্রকাশ
সির্নী-ছালাতে আমোজের বিকাশ
মসজিদ ঘরে দানেতে চাস
ওয়াল খুদে নাম লিখতে কেবল ।
তোদের সব লোক দেখানী
নামাজ লম্বা কেরাত টানী
দোয়া মুক্তাদির মন জুগানি
ভাব-ভক্তির নাই চুখে জল ।
মুগ্ধ অনুভব !
আমি সে দিন,
কোন এক কবিতা লয়ে -
ছিলাম এত মুগ্ধ
কবে যে তুমি এসে গেলে -
আমি শোনি নাই কোন শব্দ ।
শুধু চোখের পাতা ছোঁয়েছিল
বিচিত্র আলো নিঃস্তব্দ ।
সে যে তুমি ছিলে, আমার
হয় নাই তো বোদ্ধ ।
একটুকু সৌরভ, অনুবিত হচ্ছিল
নাকে লাগার গন্ধ
অনুভব হয়নাই আগমন তব
তাই বুঝি তুমি, কোব্ধ ।
নেশা ভরা আখি
আমি চেয়েছিনো বার বার -
তোমারে লয়ে রচিব,
গান আর কবিতা সম্ভার
হয় না যে লিখা আর !
তোমারে অঙ্কিতে হদয়ের মাঝে
তব দিদারে, ছুটে আসি তেজে
অপলকে আখোঁ পানে, 'মুগ্ধ মনে
চেয়ে থাকি প্রতি রোজে রোজে ।
দুআখি নেশা ভরা, 'ভালবাসা
প্রতি দিন
ফিরি হারিয়ে দিশা -
রূপমাদুর্য্য হয়নাতো অর্জ
আখুঁতলে আমি যেন হয়েছি পোষা ।
কত ভাবি মনে একাকি নির্জনে
কুমলের কেশ
খুলা ছিল নধরতনে
তা কি ছিল ? না কি কল্পনায় এলো
এতেই কাটে নীশি একা আনমনে ।
রচনা অজানা রয়ে যায়, তবে
প্রতিদিন আশা জাগে তব ভাবে
সজল আখিঁতে ভাসিত প্রেমহতে
তোমার রূপ বন্দনা হবে যে কবে ।
সে - ই- তো
তুমি
ছোট বেলা এক সাথে
তুমি আমি দুজনেই তো,
বড় পুকুরের স্নান ঘাটে -
জলে ডুবে খেলেছি কত,
সাঁতার কেটে বাহুতে বাহুতে ।
অঞ্জলী ভরে ছুঁড়ে মেরে জল
আনন্দে হাঁসিতে তুমি কলকল,
আমি রেগে কাদা লয়ে ছুটি,
তোমার অঙ্গে মেখে দিতেম মাটি -
আর তুমি কাঁদিতে ।
পুতুল খেলা ঘরে সে দিন তুমি,
বউ সেজে, রক্তলাল শাড়ি পড়ে
আসিতে যখন আমার ধারে
আমি, অভিনয়ে মুখে রুমাল ধরে
পাশে বসি তব, লাজে মরিতে মরিতে ।
সে ই তো তুমি, আমার বাহুতে,
লুটিতে, হাঁসিতে হাঁসিতে ।
গোধুলীর 'মাধুরী'
ক্ষণে ক্ষণে, তব কনকের গুঞ্জনে
বসন্তের ছোঁয়া প্রিয়ে, লাগে মননে ।
গোধুলী বেলা, মাধুরী ঝরায়ে নয়নে
নেশায় জড়ালে আজি
জড়ালে ।
ভাবাবেগে প্রেম ঝরিয়ে, 'নধরতনে -
চিত্তে ব্যাকুলতা ধলিলে ।
স্ব-যশা প্রেম রস পরশিয়া নিরবে
হৃদয়ে বাজালে বীণা আবেগে ।
গোপনে থাকা প্রেম জ্যোত্স্নায় ফুঠিয়ে
আজ বুঝি হরিলে প্রাণ সোহাগে ।
অধরের ছোঁয়ায়, নেশা ভরে স্বরে
আজি শেষ পহরে, মেলালে তপবাগে ।
সন্ধার আধাঁরে ‘আলোর’
রশ্মিতে ভাসালে
জাগায়ে প্রলয় আজি দোলালে ।
সৌরভে রাঙ্গালে বিহবল রজনী
কুঞ্জকাননে আজি নিরলে ।
হৃদয়ে উথলে দিয়ে সুখ অনুরাগ
গোধুলীর মাধুরী আজি ঝরালে ।
দুর্লব হিতৈষী
প্রিয়া
দুর্লব হিতৈষী, ওহে আমার প্রিয়া
আপন পরশে মহিমায় বিভাসে-
পূর্ণে ভরেছ এ শূন্য হিয়া ।
একাকি জীবনপ্রাতে, প্রেমবরিষার
স্রোতে
প্রণয় মিলন গীতে, ধন্য করেছ
ভালবাসিয়া ।
পিপাসাকাতর - হিয়া ছিল মোর
রুদ্রেপুড়া এক তপ্ত মরুভূমী
পরশিয়া তাথেরস তৃপ্ত করেছ আলঙ্গিয়া ।
বাধঁনের সুধানীড়ে সহসা ভাবাবশে
আবেগের স্ব-যশে সিক্ত করেছ প্রেম দিয়া ।
মানবী
আমি তোমার ধন্য গাহি
কবির
কবি মহা কবি !
গড়েছো তুমি সৃষ্টি যত নিপুণ কর্মে,
তোমারই সৃষ্ট মাঝে নারী সমে
দিয়েছ তুমি দান মরমে বাঞ্চা লভী-
সুখ-শান্তী মধু-মাধুরী, আয়েশ-খায়েশ,
বসন্ত আবেশ, জ্যোত্স্না নীশির চাঁদ-পরিবেশ
নারীহিন সবগুলো 'ক্লেশ' । মাদুর্য আর মাধবী ।
তুমি কবি দয়ার ছবি
দিয়েছ ধরায় সুন্দর যত, নারীপরে বোষন
ধাবি
সমুদ্র সৈকতরঙ্গ নারীসমে প্রেমারঙ্গ,
ফুলেতে নারী সঙ্গ, ভ্রমর করলায়
পুরুষ সবি ।
পাখি কন্টে সুরলহরী, পুরুষেই গায়
সারগম ধরি
নারী বিচ্ছেদে ফেরা-ফেরী বাজে তা-নে প্রেম বাশূরী ।
প্রেমোল্লাশ যত নীশিবাস নারীরাই করে বিন্যাস
সিক্ত হয় পুরুষ লয়ে সুবাস, নারী এনেছে সৌরভী
।
হে কবি আলোর রবি
সাজিয়েছো ধরা নারী করে বান্ধবী
জন্ম ধারায় নারী করেছো সুধা গড়ে মহা কাণ্ডারী
রাতে-প্রাতে নীশিতে আদরী নারী মায়ার সাধবী ।
নারী কমল কোলে শিশুস্নেহ পরশ দোলে
বিশ্ব বোলি বুলে আপন জবান খুলে
সকলহিত কল্যাণে নারীকে গড়েছ, করে মহামানবী ।
প্রিয়-প্রেম
কৃঞ্চ কানন কুঞ্জ বনে জ্যোত্স্না ভরা নিশীকনে
দুজনে বসে কাটিয়েছি কতো মাধুবী রাত,
প্রিয়ে-মোরসনে হাসিতে খেলিতে প্রেমের সওগাত ৷
সেই - বহুদিন আগের কথা -
বকুলপাতে ঝরে ঝরে বাহুতে
কুমলের মতো উদ্ভাসিতে
প্রেম-দানে উথলে-মাতা ৷
ক্ষণে ক্ষণে
আজ পড়ে মনে সে সব কথা
হলোনা প্রিয়ে তবকুপায় নব গোলাপের ফুল গাতা ৷
সেইদিনকার মতো -
আরতো প্রিয়ে এলেনা ছুটে
প্রেমে মেতে ডেকে অপকটে-
কত দিন আজি হয়ে গেলো গত ৷
তোমার আমার এহেন 'প্রেম' মিলন
মাঝে -
কিসে বাধা' কহ প্রিয়ে, কিসে এল বিরহ এতো ?
মনে পড়ে সব স্মৃতি-
চাঁদনী রাতে ঘরের ছাদে
দুজন বসে মন মুগ্ধে
রজনী গন্ধা ফুলের সুবাসে অতি -
আনন্দে ভাসিতাম জোনাকির মতো ঝরিয়ে ভাব প্রীতি,
দুএক চরণ ছন্দগাতা প্রেমকবিতা গাইতাম কখনও গীতি ।
প্রিয়ে মনে কি হয়?-
কর্মে কেটে অনেক সময়
ক্লান্ত মনে ফিরলে আলয়
কষ্টে, তুমি হাসাতে মোরে করে অভিনয় ।
জলগ্লাশ নিয়ে এসে কাছে মুছাতে 'ঘাম' নিজ
আচলে
সোহাগ পেয়ে ক্লান্তি ভুলে তোমার সনে হতোভাব-বিনিময় ।
আজ থাক দুরে দুরে -
বুঝিরে প্রিয়ে ব্যস্ত তুমি
আছে তোমার নাতনি-পোতনি
ছেলে মেয়ে কত মোদের এ সংসারে ।
সকল লয়ে থাক তুমি, দুংখ কি আর নেব
আমি,
মনে রেখো মোর মন তোমার ভাবে তোমার খুজে ঘুরে ।
শীত চর্চা
শীত ভরা 'মাঘ' রাগ পৌষ তুষাহনে
প্রখর রবি কিরণ নিরাতপ 'শীতাগমনে,
শীত ভীত লোকায়িত প্রকৃতির প্রাণে
ক্ষণিকে হরি রূপ নুতনভূষন বিনোদনে ।
জাগরণ শমিরণ শিউরিয়া ভূ-ধামে
নবরূপ আভূষনে নিমন্ত্রে বসন্ত পানে
ছোঁয়া দানে নব-নব তৈয়ারে সৌর-ভ
ঝরায়ে বস্ত্রশীর্ণ সাজায় সহসা আনমনে ।
শীত উত্সব
শীতে হিম কুয়াশায়
হেটে কবি গৃহে আয়
শীত কাঁপা স্বরে -
আপন প্রিয়েকে, ডাকে 'দেবিকা ।
তাপ কূড়ে শীত পরে
দেবিকা উনুন দ্বারে একা ।
কবি কণ্ঠে ডাক শোনে
তাপাবশে কথা ভোনে
আগুনের কাছে বসে কয়,
দাঁড়াও! এইতো এসেছি 'সখা ।
চাঁদর মুড়িয়ে গায়
কবিপত্নী মুগ্ধতায় লয় তাপছেঁকা ।
সময় গহে যায় বৃথা
চালের গুরো মেজে তথা
নানাহ জাতে তৈরিয়া পিঠা
কবিকে পরষে প্রেম মাখা ।
শীত উত্সবে তাই সবে
পিঠা বাটে
প্রেমভাবে পাঁকা ।
আদির প্রেম
প্রেমাবশে সে কালে নিরলে,
আপনার রূপ হতে সখা-রে সৃজিলে ।
যুগ নেই কাল নেই,
নেই কোন দিন
অনাদি, আদিতলে লীন ।
আপন বাসনা প্রেমে, অনন্ত
লীলাক্রমে
কৃপাসমে ভেসে ছিলে জলে -
তথা হতে নির্বৃত্তে সখার মুরতকৃতে
প্রকাশ লোভা চিত্তে সৃষ্টি আড়ম্বিলে ।
অপূর্ব মহিমায় আরশে' পরশ ছায়ায়
মায়া 'নুরে' কলম সৃজে নাম লিখো গায় ।
আরশ কাঁপে থর-থর
লাগে তার ডর ডর
অধর' মর-মর পায় ।
আপনার সকাশে জিগাইলে প্রকাশে
পড়িনো ধসে ধসে, ভয়েতাপ ধায় ।
কহতাহে মৃদু-হেসে থাকো কৃপায় মিশে
সখা নামপাশে লেখিলে দোল-দোলায় ।
সখাসনে প্রেম এত, কৃপা বলে
ঘোষিত
প্রেমনাম বিজয় 'জাম' আদিহনে
সৃজিত ।
সকল জী-ব প্রাণে
নামের প্রেমছোঁয়া দানে
অভয় ত্রিভূবনে বিজিত ।
ঐশ্যি আদি কালাম প্রকাশে সখা নাম
মিম হা মিম
দাল সর্বাদিকাল প্রশংসিত ।
খোঁপার ফুল
বধু তব খোঁপায় বাধাঁ রক্ত জবাব ফুল
এ যে আমার মন কেড়ে, করে গো ব্যাকুল
হৃদয় মাঝে জাগায় বধু তরঙ্গ হিল্লোল ।
এ যে আমার মন কেড়ে, করে গো ব্যাকুল
।
তোমার কালো চুলের সিঁথির পাশে
ফুল পাপরি ঝাপরে আছে খশে
আমি যেন হারাই দিশে, চিত্ত আকুল ।
এ যে আমার মন কেড়ে, করে গো ব্যাকুল
।
আখঁ ফেরেনা আজকে বধু আটকে আছে ফাঁদে
লোভাতুর অন্তর মোর 'বাসর রাতের
সাধে
খোঁপার ফুলের গন্ধে পরান আনন্দে দোলে-দোল ।
এ যে আমার মন কেড়ে, করে গো ব্যাকুল
।
তোমার সনে
ভালবাসা
বিনম্র প্রেম আমি তোমাকে দিতে চাই
তুমি আমার হিয়ার মাঝে করে নিয়েছো ঠাই
আমি দেখি, শুধু তোমাকে দেখি -
এ দিক সে দিক যে দিকে ফেরাই আখিঁ ।
আমার কলমের কালিতে তোমার প্রতিছবি
আমার কবিতার ছন্দে ফুঠে তোমার কুবি
আমি যখন নিরবে একা ফুল বাগানে বসি
ফুল কলিতে মনে মনে হেরি তোমার হাসি ।
আমি যখন পুকুর ঘাটে জলে দেই ঢেউ
জলের মাঝে হেরি তোমায় 'রূপেমেতে রউ
তোমার কৃঞ্চবরণ রূপের কিরণ আমার মাঝে -
হর-হামেশা জাগায় আশা প্রলয় সেজে ।
নীশি রাতে খাটে যখন ঘুমাই একা
স্বপ্ন হয়ে তুমি এসে করো দেখা
আখিঁ মেলে চেয়ে আমি হই নৈরশা
এ কেমন তোমার আমার ভালবাসা ?
আকুতি
হে কবি মহাকবি -
তোমার কাছে একটাই আমার দাবি
আমি মরেও যেন বাচিবার পারি
এ সুন্দর পৃথিবীতে মানুষের মাঝে ছড়ি ৷
এ পৃথিবীর জল-বায়ু ফুল-কলি -
উঁচু উঁচু পাহাড় পর্বত গিরি
যেখানে যেখানে আছে মানুষ
সকলের মাঝে নিজের স্থান গড়ি -
আমি যেন সব আলয়ে স্মরি ৷
মধুভাব
ঝির-ঝির বাতাসে শিহরে ওঠে মন
কুমলের বাঁধনে প্রাণে ঝরা প্রেম শিহরণ
হেন ভাব হৃদয়ে উল্লাসে জাগে অঙ্কিঞ্চন
বুঝিনো বুঝিনো মাধবী 'বসন্ত' আগমন ।
পল্লবী দোলে দোলে হৃদেজোয়ার উথলে
নির্স্কন্টক কন্ঠে ভ্রমর গুঞ্জন মকুলে মকুলে
ফুলে ফুলে মধুভাব যৌবনা আলোকে
হরে হরে প্রেম নেশা ঝরালো নয়ন ।
চঞ্চলও চপল আকুলিয়া 'প্রাণ' ঢল ঢল
পবন কল কল 'গা' মম মল মল
অঝরায় নির্মিল অবিলীন নিশি পল
হর্ষিয়া প্রাণে কোহল ঝরালো নব রঙ ।
মস্ত খেলার
প্রিয়ে
ভুবন দিলাম হাস্য উজ্জল
সংসার সুখ ভরে
অস্ত বেলার মস্ত খেলায়
ঝরালে প্রিয়ে মোরে ।
জ্যোত্স্না রাতে চলেছি সাথে
এক বাটিতে একই নীড়ে
আজ বুঝি সই বাধন ছিড়ে
চলে গেলে নিরন্তরে ।
সুখের দিনে ভালোবেসে ক্লেশে ধলিতে -
চলে গেলে রেখে মোরে বন্ধনীড়ে
লীন করে মোর সবই আজি এ ব্রজে
নবসঙ্গে মনরঙ্গে গিয়াছ উড়ে ।
ভ্রমে ক্রমে সারাক্ষণ হাসিখেল ছল
সমবাস নিধিলে নিগুঢ়ে
প্রাণ নও তুমি আসলে হও ধাগা
আলেয়ার আভা ভব ঘুরে ।
ভালবাসি সব
আমি সবারে ভালবাসি
যতই আসুক কান্না চোখে
বুকে আসুক যতই হাঁসি ।
আমি সবই ভালবাসি ।
ভাল যে ভাসতেই হয়
কারণ জীবনইতো ভালবাসাময় ।
কত দিলাম কত পাইলাম
হিসাব খতিয়ে দেখার সময় নয় ।
সময় যে গয়, আমার সময় গয়
তাইতো ভাবি ভালবেসে জীবন করি ক্ষয়।
জীবন মাত্র একটাইতো -
আমি ভালবেসে করব না, কী? জয় ।
পিছনে থাকানো আমার নাহি শুভে,
পিছে দেখলে সামনে যাব কবে ?
অতিত যদি কাঁটায় ভরা থাকে, তবে
ফেসে গেলে, ভালবাসা কি হবে ?
তাইতো আমি সব ভুলিয়ে ভালবাসা লয়ে
সবাইকে ভালবেসে জীবন কাটাবো ভবে ।
অদভূতময়
তুমি বুঝ যদি কথা
তোমার স্থলি ভরা আছে গাধা
সেখানে যা দেবা, তাই লয়
কম দিলে গর্জে, লাগে অদভূতময় ।
কই যেন নিয়ে যায়, কি যেন ঘটে হায়
!
ধরে ফেলে মাথায়, কি আজব ব্যথা ।
- তুমি বুঝ যদি কথা -
ভাবো দেখি রস্য, কে কার পোষ্য
চমত্কার অবশ্য আছে এ গাঁথায় ।
ষড়েন্দ্রীয় মনুষ্য, কান, মুখ, দৃশ্য
হাত, পা, নাকে বশ্য জীবন গতিতায় ।
এ সবে কি খোলায় গাধাটাকে থামায়,
অন্তরিন বিধায় বাহ্যিক ইন্দ্র প্রয়োগ বৃথা ।
- তুমি বুঝ যদি কথা -
এ সব বুঝিয়া হুছট খেলাম বসিয়া
জীবন ভর দিয়া, অনুরাগ নাহি চায় ।
বুঝি অবশেষে সাধনে আয় বশে
ঐশ্যি মন্ত্রে ঘসে বুজ ডালা যায় ।
পেট জ্বালার দুনিয়া গাধা পেট থামিয়া
ধ্যেয়ানে ভ্রমিয়াই আয় সফলতা ।
-
তুমি বুঝ যদি কথা - ।
হে প্রেম বিভা-স
হে অনন্ত প্রেম-
বাসনায় বিকা-শ, আবীরে উদ্ভা-স
উথলে স্রোতে এ অসান্ত হিয়া মাঝে
তুমি জ্যোতি হয়ে এসো,
প্রীত হয়ে বস,
আমার উদাশ হিয়ায় একটুখানি ভাস ।
ঝরণার জলসম বহে
আমার হৃদয় হনে গতি হয়ে-
নিখিলে সাথে তুমি মিশ ।
আকাশের তারার মতো
জ্যোত্স্নাধারায় ঝরাও লীলা র-স ।
অষিমের দিশা হয়ে
রিক্ত মন পোষা দিয়ে
নিবিড় কলতানে ধ্বনী তুলে হা-স ।
খোলাসা ভালবাসা
ভোগ-অভিলাশ নাশা হয়ে বিভা-স ।
অধরা প্রিয়া
হে অনন্ত, অনাদির চিরন্তন প্রিয়া
জনমে জনমে আমি, তোমারে চাহিয়া -
যুগে যুগে খুজেছি ফিরিয়া ।
তোমারই বন্দনা, করেছি আরাধনা,
অনজানা রূপে ভালবাসা-জাগানিয়া ।
তুমি আছো হিয়া মাঝে
আমার ম-ন-প্রাণে বিরাজে
গোপণ-চারিণী হয়ে উদ্ভাসীয়া ।
তুমি, বাসনা-রাগীনি!
জীবন রঙ্গিণী, অনুরাগী ছন্দ-মালা ।
বসন্ত-যৌবনা বালা, আমার
চির-বিনোদিনী ।
প্রেম ভাবে গাঁথা হয়ে সৃষ্টি আদি-কালে,
জেগে ওঠা প্রেম অভিলাশ
তোমাতে লয়ে পিয়াস ভালবেসেছি উথলে ।
না পাওয়া ব্যথা, মরমে আছেনু
গাঁথা
ধরা নাহি দাও দেহে,
জিবনের প্রেম দাহে, অছোঁয়া রেখেছ
মমতা ।
স্বপনে আমনে আলিঙ্গন চাহি তনে,
অসিমা! তুমি সীমা হলে না,
অধরে ধরা বিনা ঝলসে মন দাহনে ।
অধরা হে প্রিয়া 'ছোয়া হলে না,
শরাবের নেশা লাগা, প্রেমে সোহাগা
আমার মানস-পটে বিধু তবে, ধরা হলনা ।
যৌবন
ভোগ অভিলাশে উচ্ছাস প্রেমভাবে
ছোঁয়েছি অধর কতবার, বারে বারে -
তবুও মন চাহে মিশে রই তব দেহে
চঞ্চলা মন উথলা শমিরণ নব প্রবাহে,
হে প্রিয়া যৌবনা, আলপনা তুমি
মোহে ।
নিখিল হূদয় জোড়ে ঝরে আছো সৌরভে
বসন্ত গৌরবে কর জয় তরুনী মন লোভে ।
আবশে মন তুষে হিয়া ঘসে প্রাণে প্রাণে
ঝরেছো সুধা-রসে, বিকাশ তব নীশি
দিনে
নতুন নর-দেহে আরোহে মর-ম বন্ধনে ।
শীতে ঝরা তামস
এসেছে পৌষ, সুর্যের আলোকে আবশে,
রেখেছে কূয়াশার চাদরে পরশে -
দিগ-দিগন্ত, সবুজের মাট-ঘাট
উচুঁ উচুঁ পাহাড়, নদী, হাওর-বাওর-
শীতে ঝরা তামসে ।
নিলিমাও যেন ঢাকা পড়ে প্রত্যুষে
হীম হীম ছোঁয়া লাগে গায়ে বাতাসে ।
শীতাবরণ শিশির ঝরণ ক্ষণিকে ক্ষণিকে
নিরব-নিবিড় বেলা, শূন্যতার মেলা
জোড়ে রাখে অর্ধ দিবসে ।
পাখি নাহি গায় কিচিরমিচি স্বর-সরসে
জল হাস থেকে একপায় দাঁড়িয়ে পুকুর পাশে
শীত কাল কাটে এমনি নিরব বিরাজে
তারই মাঝে আনন্দ বাটে বাণী রটে
মধুয় দোলে বসন্ত আসে ।
No comments:
Post a Comment